হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
কালবৈশাখী তান্ডবে জগন্নাথপুরে ১৫ টি ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হওয়ার পাশা-পাশি গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এতে প্রায় চার/পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পাকা বোরোধান কাটতে কৃষকেরা হিমশিম খাচ্ছেন।
জানাযায়, গতকাল ২৯ শে এপ্রিল দিবাগত রাত প্রায় ৮ টা ৪০ মিনিটের সময় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার উপর দিয়ে ভয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়-তুফান ও বজ্রপাত। হঠাৎ করে এই ঝড়-তুফান এর প্রায় ২০ মিনিট ব্যাপী তান্ডবে জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাড়ী জগন্নাথপুরের ১ টি ঘর,নোয়াগাঁও গ্রামে ৩ টি ঘর, মোহাম্মদপুরে ২ টি ঘর, বালিকান্দী গ্রামের ২ টি ঘর, আধুয়া গ্রামে ২ টি ঘর, কলকলিয়া গ্রাম ও কলকলিয়া বাজার এর পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর চালের টিন ঝড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে ফেলেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এতে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘনঘন বজ্রপাতের বিকট শব্দে মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এছাড়াও কিছু কৃষক ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েছেন।কারণ যে ধান গুলো কাটা হয়নি সেই ধানগাছ গুলো ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে এলোমেলো হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এই ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক শ্রমিক ধানক্ষেতে গিয়ে অবস্থা দেখে ফিরে আসছে। ধানকাটার মেশিনে এ ধান কাটাও সম্ভব নয়।তাই অনেক কৃষক পরিবারের লোকজন নিয়ে ধান কাটছেন। যদিও উপজেলার প্রায় ৯৫ শতাংশ বোরোধান কাটা শেষ হয়েছে।
বসতবাড়ী বিধ্বস্ত হওয়া আকবর আলী, পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান, কলকলিয়া বাজার এর হামিদ ভেটেরিনারীর মালিক আব্দুল হামিদ সহ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে বলেন,রাতের ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে ঘরের চাল গাছের মাথায় গেছে। ঝড়বৃষ্টিতে কষ্ট করেছি। দিনে ঘর মেরামত করেছি। ভিষণ ভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে পড়েছি।
এবিষয়ে কৃষক শাহীনুর , আব্দুল আলী সহ একাধিক কৃষক বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় ধানগাছ জমিতে লুটিয়ে পড়েছে। মেশিন দিয়ে ধান কাটা যাবেনা। ধান কাটার শ্রমিকরা জমিতে গিয়ে ধানগাছ এর অবস্থা দেখে চলে যাচ্ছে। তাই নিজেরাই ধান কাটছি। আশাকরি দিনক্ষণ ভাল থাকলে ধান ঘোলায় তুলতে পারব।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম