স্টাফ রিপোর্টারঃ সাতক্ষীরা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে অব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটে চিকিৎসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যক্ষ্মা রোগীরা।
শহরতলীর চালতেতলা এলাকায় ১৯৬৯ সালে চার বিঘা জমির উপর স্থাপন করা হয় সাতক্ষীরা (টিবি হাসপাতাল) বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। এখানে বিশেষ করে যক্ষা রোগিদের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সরকারি এই ক্লিনিকটি জেলার প্রায় ২২ লাখ মানষের একমাত্র ভরসাস্থল। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
হাসপাতালটিতে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ড ও একজন মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে জুনিয়র কনসালটেন্ডের পদটি শুন্য। নামে মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার থাকলেও তিনি মাসে ৩ থেকে ৪ দিনের বেশি অফিস করেন না।
সরজমিনে জানা যায়, হাসপাতালটিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ১৫টি পদ থাকলেও খাতা কলমে কর্মরত মাত্র ৯ জন। বাকি ৬টি পদই শুন্য। যক্ষারোগের চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ডাক্তার বা নার্সদের না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেতে হয় অনেকের। যেন দেখার কেউ নেই হাসপাতালটির।
দীর্ঘদিন ধরে চলছে অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। বিকল হয়ে পড়ে আছে কোটি টাকা মূল্যের এক্সরে মেশিনসহ অন্যান্য সব যন্ত্রপাতি। মেশিন নষ্ট এই অজুহাতে সবধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। জনবল সংকট নিরসনের দাবি ভুক্তভোগীদের
সেবা নিতে আসা আশাশুনি উপজেলার রঘুনাথ মন্ডল বলেন, আগে দুদিন এসেছি ডাক্তার পায়নি আজ এসে বসে রয়েছি ডাক্তার আসবে কি জানিনা!প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে রোগিরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আমার মতন অনেকে।
বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত রবিউল ইসলাম বলেন, একজন চিকিৎসক থাকলেও তিনি মাসে দুই থেকে ৩ দিনের বেশি অফিস করেন না। এখানে বর্তমানে যারা কর্মরত আছে তাদের অধিকাংশই ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেন না। আমরা চাই সরকার যেনো এই হাসপাতালটির দিকে একটু নজর দেয়।
বক্ষব্যাধি হাসপাতালটির সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রোগিরা যাতে সর্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম