হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের পল্লীতে বন্ধুকের গুলিতে নিহত জামাল (৪৫) হত্যা মামলার আসামী হুসবান(৩৫) কে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করার পাশা-পাশি একটি একনালা বন্ধুক ও ৪টি কার্তুজ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
থানা ও আদালত সুত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) এএসপি শুভাশীষ ধর এর সার্বিক সহযোগিতায় ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় অত্র থানার এসআই মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার সহ সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম মৌলভীবাজার, ঢাকা, ফেনী ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ১৩ ই মে রোজ শনিবার ফেনী জেলা সদর এলাকা থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রাম নিবাসী সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ নং আসামী একই উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রাম নিবাসী মৃত সৈয়দ এলাইছ মিয়ার ছেলে হুসবান আহমদ (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) কে হত্যায় ব্যবহৃত ১ টি একনালা বন্ধুক এবং ৪ টি কার্তুজ উদ্ধার পূর্বক সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকামূলে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সৈয়দ হুসবান আহমদ(৩৫) কে ১৪ ই মে রোজ রবিবার সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
গ্রেপ্তার ও বন্ধুক সহ কার্তুজ উদ্ধার এর সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার জানান, উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রাম নিবাসী সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) হত্যা মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী হুসবান আহমদ (৩৫) কে ১৪ ই মে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২৮ শে এপ্রিল দিবাগত রাত প্রায় ৯ টা ১৫ মিনিটের সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর -শাহারপাড়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সৈয়দপুর ঈশানকোণা গ্রাম এলাকায় দুটি পক্ষের মধ্যে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ জন আহত হন। তমধ্যে বন্ধুকের গুলিতে গুরুতর আহত এই গ্রাম নিবাসী সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল মিয়া(৪৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মৃত্যু বরন করেন জামাল মিয়া। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সৈয়দ হোসাইন বাদী হয়ে সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রাম নিবাসী মৃত সৈয়দ এলাইছ মিয়ার ছেলে আলমগীর(৪৭), সৈয়দ হুসবান আহমদ (৩৫), মৃত আব্দুল হক এর ছেলে মোঃ আবুল হাসান (৫৫), জিতু মিয়ার ছেলে সৈয়দ মাহফুজ আহমদ (২৫), সৈয়দ আলমগীর এর ছেলে সৈয়দ ইসহাক আহমদ (২০) এর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ১লা মে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সৈয়দ জুম্মান নামক আরেক যুবক কারাগারে রয়েছেন।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম