
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় সোমবার রাত ১০টায় কালবৈশাখী ঝড়ে ৫০টি বসত ঘর একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদের চাল উড়ে গেছে এবং শত শত গাছ পালা আবার কারো ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের সতিরাম, বিবির হাওলা , সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রাম. আমখোলার বাদুরা গ্রামে এ কালবৈশাখী ঝড় তান্ডব চালায় ।
উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের বিবির হাওলা গ্রামের জেলে মো.ফারুক মিয়া বলেন, রাতে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাড়ি এসে গোয়াল ঘরে গরু বাধতে যাই এ সময় হঠাৎ করে ঝড়ে আমার ঘরের উপর একটা বড় গাছ পড়ে মাটির সাথে মিশে যায়। ঘরের বেগতি অবস্থা দেখে সন্তানদের নিয়ে আমিসহ পাশের মাঠে গিয়ে আশ্রয় নেই।
একই ইউনিয়নের গুপ্তের হাওলা গ্রামের মো. রফিক হাওলাদার বলেন, আকাশের অবস্থা খারাপ দেইখ্যা আমি গরুর কাছে যাই। এর মধ্যেই আমার বাচ্চারা চিৎকার করে ঘর ছেড়ে দৌড়ে বাইরে চলে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি আমার ঘরের চালের উপর বড় একটি চাম্বল গাছ চাপা দিয়েছে। আল্লাহ এখন শুধু প্রাণে বাচাইছে।
এ প্রসঙ্গে পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বেশিরভাগই জেলে। এরা দিন আনে দিন খায়। এদের এক এক পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে। জীবনের শেষ সম্বলটুকু দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু করেছিল। আজ তা সব শেষ হয়ে গেছে। কোন সহায়তা না পেলে এদের জন্য দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখার কবল থেকে বেচে গিয়েছি। কিন্তু তার একদিন পরই কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে অনেক ঘর বাড়ি ও গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদেরকে আমরা স্থানীয়ভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করছি। আর যারা কম ক্ষতিগ্রস্থ তাদেরকে আবেদন করার অনুরোধ করছি।##