ডেস্কঃ রিপোর্ট
নিজে আইন জানি, অন্যকে জানাই এবং আইন মেনে চলি"। আইন সবাইকে জানতে হবে, আইনজীবী হোক আর আমজনতা হোক।।
জানি না এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
অনলাইনে ফেসবুক বা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিংবা যেকোনো ওয়েবসাইটে যদি মানহানিকর ছবি বা বক্তব্য প্রকাশ করা হয় তাহলে ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট-এর ২৯ ধারা অনুযায়ী আইনের আশ্রয় নেওয়া যায়।
২৯ ধারাটি একটি স্পষ্ট ধারা। ২৯ ধারায় শাস্তিও দণ্ডবিধির চেয়ে অনেক কঠোর। পুলিশ এ ধারার অভিযোগে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারও করতে পারে। অর্থাৎ মানহানিকর বক্তব্য যদি অনলাইনের বাইরে হয় তাহলে এক ধরনের শাস্তি আর অনলাইনে হলে আরেক ধরনের শাস্তি। তাই ২৯ ধারায় অপব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আইনের আশ্রয় কীভাবে পাওয়া যাবে :
মানহানির অভিযোগে থানায় ও সাইবার ট্রাইবুনালে উভয় ধরনের মামলা বা মোকদ্দমা দায়ের করার সুযোগ আছে।
ফৌজদারি আদালতে নালিশি মামলা হিসেবে অভিযোগ দায়ের করতে হয়।
যিনি মানহানির শিকার তিনি আদালতে অভিযোগ দায়ের করে জবানবন্দি প্রদানের মাধ্যমে মামলা দায়ের করতে হবে। আদালত সমন জারি করবেন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মানহানি মামলায় সরাসরি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় না। সমন দিলে আদালতে হাজির হয়ে জামিন না চাইলে সে ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অনলাইনে বা যেকোনো মাধ্যমে যদি মানহানির শিকার হন কেউ, তাহলে থানায় এজাহার দায়ের করতে হবে। সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করা যায় না।
মানহানির কারণে ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। এ মোকদ্দমা দায়ের করতে হলে ক্ষতিপূরণের টাকার মূল্যের ওপর কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। তবে বিচারপদ্ধতি দেওয়ানি মোকদ্দমার মতোই। মামলায় বাদী জয়ী হলে বিবাদী থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদায় করতে পারেন।
নিজে আইন জানি, আইন মানি এবং আইন অনুযায়ী চলার চেষ্টা করি। অন্যকে জানাই এবং মেনে চলি। সবাই মিলে অন্যায় অনিয়ম অপরাধ প্রতিরোধ করি, একটি সুন্দর সমাজ গড়ি।
লেখক: আইনজীবী ও কলামিস্ট।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম