বিশেষ প্রতিনিধি
গ্যাস সংকটের কারণে সক্ষমতা থাকার পরও প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। ডলার সংকটে তেল আমদানি স্বাভাবিক করতে পারছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সরকারের কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের বকেয়া পাওনার পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে তারাও বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আরও সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।গত কয়েক দিন ধরে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা সহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে তা আরও বাড়তে পারে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ঠিক রাখা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। জ্বালানি আমদানি বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বাড়বে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গতকাল চান্দিনা ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেড়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছে– ‘গভীর রাতেও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছি। একদিকে মশা, অন্যদিকে লোডশেডিং- সব মিলিয়ে একটি সংকটে আছি,
আমরা এটার সঠিক একটা সমাধান চাচ্ছি।