হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে নানা বাড়ী থেকে শুটকি আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে বাড়ী ফিরেছে মাদ্রাসা পড়ুয়া ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী । এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত শ্রীরামসি চাঁদবোয়ালী গ্রাম নিবাসী জনৈক ব্যাক্তির ১০ বছর বয়সী মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বিগত ৩১ শে মে সকাল প্রায় ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় নিজ বাড়ী হইতে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ী শুটকি আনতে গিয়েছিল। সে নানার বাড়ী থেকে শুটকির ব্যাগ নিয়ে নিজ বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্য একই গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ সুন্দর আলীর ছেলে দুই বাচ্চার জনক মাদকসেবি জয়নুল ইসলাম (৪৫) সুকৌশলে এই ছাত্রীকে কাছে ডেকে নিয়ে পুকুর পাড়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বিষয়টি কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি প্রদান করে জয়নুল ইসলাম। হুমকির ভয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বিষয়টি কাউকে জানায়নি। কিন্তু সে নিজ ঘরে আসার পর তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। মেয়ের শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখতে পেয়ে এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিবারের লোকজন মিলে তাৎক্ষণিক ভিকটিম ছাত্রীকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে রেফার করেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার জগন্নাথপুর (সার্কেল) এএসপি শুভাশিষ ধর নির্যাতিত ছাত্রীর সাথে দেখা করেন এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। বিগত ৩১ শে মে রোজ বুধবার থেকে চলতি ২ রা জুন রোজ শুক্রবার পর্যন্ত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা শেষে রিলিজ পেয়ে নিজ বাড়ীতে ফিরে ভিকটিম ও তার পরিবার। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
এব্যাপারে ভিকটিম ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪৫)কে আসামী করে গত ৩ রা জুন রোজ শনিবার জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত ছাত্রীর মা বলেন, আমার শিশু মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। বিগত বুধবার সকালে সে তার নানা বাড়ী থেকে শুটকি নিয়ে বাড়ীতে ফেরার পথে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে মাদকসেবি জয়নুল ইসলাম আমার অবুঝ শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেছে। কাউকে কিছু বললে মেয়েকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছে। মেয়েটি বাড়ী ফিরে কান্না -কাটি করে বিষয়টি আমাকে জানায়। তাৎক্ষণিক অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। মেয়ের চিকিৎসা শেষে রিলিজ পেয়ে বাড়ী এসেছি। আমি বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষক জয়নুল ইসলাম (৪৫) এর বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় মামলায় দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম