হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের খাসিলা গ্রামে অজুফা(১৬) নামক এক ছাত্রী ও হাছন ফাতেমাপুর গ্রামে ছাব্বির(১৫) নামক এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত খাসিলা(পশ্চিমপাড়া) গ্রাম নিবাসী গিয়াস উদ্দিন এর মেয়ে স্থানীয় একটি শিক্ষাঙ্গনের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী অজুফা বেগম(১৬) আজ ২৭ শে জুন রোজ মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১২ ঘটিকার দিকে পরিবারের অগোচরে নিজ বসত ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই অলক দাস সহ একদল পুলিশ বিকাল ৪ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। মরদেহ জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্চুয়ারীতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল ২৮ শে জুন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আত্মহত্যার কারন জানা যায়নি।
এবিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জসীম উদ্দিন মিন্টু।
এদিকে ২৭ শে জুন রোজ মঙ্গলবার দুপুর অনুমান ১১ ঘটিকার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত হাছন ফাতেমাপুর গ্রাম নিবাসী ফেরৌস মিয়া'র ছেলে স্থানীয় শিক্ষাঙ্গনের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির আহমদ (১৫)কে গলায় গামছা দিয়ে বসত ঘরের তীরের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে । তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয় । খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সাইফুদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিকাল ২ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাব্বির আহমদ (১৫) এর মরদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারন জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।
সম্পাদক
ও প্রকাশক : মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম