হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান
(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও সম্মানহানী সহ প্রাণ নাশের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জলঢাকা পৌরসভার পরপর টানা দুই’বার এর নির্বাচিত কাউন্সিলর রুহুল আমিন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে পৌর সভার হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাউন্সিলর রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর হতে সুনামের সাথে আমার উপর জনগনের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। । এদিকে আমার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাকে জড়িয়ে ভুল ও মিথ্যা বিভ্রান্ত মুলক তথ্য দিয়ে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিত্তিহীন বানোয়াট,উদ্দেশ্যে
প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করে আমার সন্মানহানী করার চেষ্টা করছে ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওই প্রকাশিত সংবাদের কোন ভিত্তি নাই।তিনি আরে বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন আমার উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এমন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহবান জানিয়ে বলেন,আমার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৩৪) এর নিকট হইতে আমি জমি ক্রয়ের লক্ষে জমির খতিয়ান নং- এস, এ-৬৮, ডিপিং-৩৬৫ খারিজ খতিয়ানঃ ১৬৪, দাগ-৩৯৯, ১৩ শতকের মধ্যে হইতে ০.৫ শতাংশ জমি আমি আবুল কালাম আজাদ সরকার কর্তৃক ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে গত ২০ আগষ্ট ২০১৬ ইং তারিখে প্রদান করা হয়। টাকা প্রদানের ০৭ দিন পর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে সাব কবলা করে দিবে বলে অঙ্গীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব রেজিস্ট্রার অফিসে উপস্থিত হলেও অসুস্থাতার ভান করে অফিস থেকে কেটে পরে। পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং তারিখে আমাকে না দিয়ে মোঃ হালিমুর রহমান, পিতা মৃত-অফিসার রহমান কে জমির দলিল সাব রেজিস্ট্রি করে দেয়। যা আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
তার এই প্রতারনা বুঝতে পেরে আমি তৎকালীন পৌর মেয়র ফাহমিদ ফ্যাসাল কমেট চৌধুরী একটি মৌখিক অভিযোগ করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উভয়কে বিচার সালিসে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে আদুল্লাহ আল মামুন আমাকে জমি দিতে না পারলে
গ্রহনকৃত টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত প্রদান করবে বলে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। যথাসময়ে টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করায় বাধ্য হইয়া আমি জলঢাকা থানায় একটি এজাহার দায়ের করি যাহার মামলা নং-জি, আর-৪৯/২৩ (জল) যা এখন বিচারাধীন রয়েছে। মামলা করার কারণে প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ নিজেকে বাঁচানোর জন্য টাকা ও জমি না দেওয়ার জন্য আমার ও আমার পরিবারের উপরে আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে আমার মানহানি চেষ্টা করা সহ আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন।
তিনি আরো বলেন এই আব্দুল্লা বগুলাগাড়ীর আনচালক আবু তালেব হত্যা মামলার আসামী সহ, চুরি, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী। তিনি আরো বলেন গত ০৪ আগষ্ট ২০১৩ইং রাতে আমি একটি শালিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় খন্ডলার বাজার নামক স্থানে (ক্যানেলের ব্রীজের উপরে) আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসী আব্দুল্লা।এ সময় আমার আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হন।
তিনি আরো বলেন আব্দুল্লাহ জেল হাজত থেকে বের হয়ে আমার ও আমার পরিবারে সম্মান হানী করার উদ্দেশ্যে গত ০৪/০৯/২০১৩ইং তারিখে কিছু সংবাদ কর্মীদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আমার মানহানি করায় এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
আজ পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আমি ও পরিবারবর্গ জীবন নিয়ে শংকিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় তুগছি। তাই জীবনের নিরাপত্তা দাবী করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আব্দুল মান্নান,২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মন্টু, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর হক,৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হেসেন,সহ কাউন্সিলর ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।