হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুর এর পল্লীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলায় দিনমজুর ফজর আলী (৪০) নামক এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আহতের স্ত্রী রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত হিজলা গ্রাম নিবাসী মৃত আমজদ উল্লাহ’র ছেলে ফজর আলী (৪০) এর পরিবারবর্গে সাথে একই গ্রাম নিবাসী আঃ লতিফ এর পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া -ফসাদ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসিতেছে। বিগত ২১ শে সেপ্টেম্বর সকাল প্রায় ৮ ঘটিকার সময় গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে কাজে যাওয়ার প্রাক্কালে আঃ শহীদ এর বসত বাড়ীর সামনে আগে থেকে ওতপেতে থাকা হিজলা গ্রাম নিবাসী আঃ লতিফ এর ছেলে শিপন মিয়া (৩২), জনি মিয়া (২০), মৃত মবউল্লাহ’র ছেলে আঃ লতিফ ও আঃ শহীদ দেশীয় অস্ত্র -শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ফজর আলী(৪০)কে গুরুতর আহত করে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ফজর আলীর সাথে থাকা নাদামপুর গ্রাম নিবাসী দিনমজুর রেজাউল মিয়া(৩৫) গং ব্যক্তিবর্গ আক্রমণকারীদের হাত থেকে ফজর আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় এখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসা নিয়ে আহত ফজর আলী বাড়ী ফিরেছেন। এব্যাপারে আহত ফজর আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে ঘটনার দিন অর্থাৎ বিগত ২১ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে জগন্নাথপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আহত ব্যক্তি ফজর আলী একান্ত আলাপকালে বলেন, আমার নিজস্ব বাড়ীঘর না থাকায় বর্তমানে আমি নাদামপুর গ্রাম নিবাসী হাবিবুর রহমান এর বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। ঘটনার দিন সকালে আমি হিজলা গ্রামের গ্রামীন রাস্তা দিয়ে কাজে যাওয়ার সময় হিজলা গ্রাম নিবাসী আঃ শহীদ এর বসত বাড়ীর সামনে পৌছা মাত্রই এই গ্রাম নিবাসী আঃ লতিফ এর ছেলে শিপন মিয়া (৩২), জনি মিয়া (২০), মৃত মবউল্লাহ’র ছেলে আঃ লতিফ ও আঃ শহীদ দেশীয় অস্ত্র -শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং শিপন মিয়া দা দিয়ে ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি ভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। এখনো পুরোপুরিভাবে সুস্থ হইনি। এবিষয়ে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমার ভাইদের সাথে ওদের মামলা মোকদ্দমা চলছে। কারো সাথে আমার শত্রুতা নেই। আমার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে ফজর আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম মুঠোফোন আলাপকালে বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। আমার দিনমজুর স্বামীকে অতর্কিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে শিপন গং ব্যক্তিবর্গ গুরুতর আহত করেছে। আমি থানার আশ্রয় নিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার প্রার্থী।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী জগন্নাথপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, বাদীর অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।