হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে বোরোধান এর বীজ ক্রয়-বিক্রয় এর মহোৎসব চলছে। ডিলাররা উন্নত মানের বিভিন্ন জাতের বীজ ধান সীমিত লাভে রীতিমতো প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করছেন।
৩ রা নভেম্বর রোজ শুক্রবার রোজ শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর সদর জগন্নাথপুর বাজারস্থ বিভিন্ন বীজ ডিলার এর দোকানে ও কলকলিয়া বাজারস্থ রিয়ার ট্রেডার্স এন্ড প্রান্ত বীজ ঘরে সোনালী ফসল বোরোধান এর বীজ ক্রয়ে কৃষকদের উপচে পড়া ভীড়। দাম-দর কষাকষি করে উন্নত মানের বিভিন্ন জাতের বীজ ক্রয় করছেন কৃষক কূল।
চলতি বোরো মৌসুমে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ ধান বাজারে দেখা গেলেও উন্নত বেশী ফলনশীল জলক রাজ-,হীরা -2, নাফকো-2, ইস্পাহানি – ব্রী ধান-৯২, বঙ্গবন্ধু ১০০, যমুনা, কেবিসি ১, মইকো১, নবীন, ইস্পাহানি ৯, ব্র্যাক২, সুগন্ধা১০৮,ইস্পাহানি – ব্রী ধান-৮৯, এসি আই, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার-৪ হাইব্রিড ধান ও মাহীকো-১ বীজ ধান ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে সূলভ মূল্যে বীজ ধান বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষক কূল লাভবান হচ্ছেন।
বীজ ধান ক্রয়কারী কৃষক আব্দুল আলীম, জুলহাস, জলিল ও লিটন মিয়া সহ একাধিক কৃষক একান্ত আলাপকালে বলেন, বিগত বছর হাইব্রিড জাতীয় বীজ ধানে ভাল ফসল হওয়ায় এবারও এ জাতীয় বীজ ধান ক্রয় করছি। বীজের মূল্য ভালোই আছে।
এ ব্যাপারে দিলিপ দাস ও শরীফ সহ একাধিক ব্যবসায়ী একান্ত আলাপকালে বলেন, বিভিন্ন জাতের বীজ ধানে বাজার সয়লাব। তাই প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করতে গিয়ে অল্প লাভেই বীজ বিক্রয় করছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ বলেন, বীজ ধানে বাজার সয়লাব হওয়ায় কৃষকেরা কিছুটা হলেও কম মূল্যে ক্রয় করতে পারছেন। আমরাও এটা চাই। কেউ উচ্চ মূল্যে বীজ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে সরকার কর্তৃক অনুমোদনহীন কোন বীজ বিক্রি করা যাবে না। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
এদিকে বিগত বছর সোনালী ফসল বোরোধান ভাল হওয়ায় কৃষকেরা এবার জমি আবাদে আরো বেশী উৎসাহিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে হাওর থেকে পানি নিষ্কাশন হওয়ার সাথে সাথে বীজতলা তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কুল। একই সাথে চলছে বোরো জমি পরিস্কার -পরিছন্ন করার কাজ।