হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে আলু ও পিঁয়াজ এর মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বাজার মনিটরিং জোরদাবী জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
৪ ঠা নভেম্বর রোজ শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজার, কলকলিয়া বাজার, চিলাউড়া বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, মীরপুর বাজার, রানীগঞ্জ বাজার ও মোহাম্মদগঞ্জ বাজার সহ উপজেলার সবকটি হাটবাজার এর ব্যবসায়ীরা সরকার কর্তৃক নির্ধারণকৃত মূল্যকে তোয়াক্কা না করে প্রতি কেজি আলু ৬০/৬৫ টাকায় ও পিঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত চারপাঁচ দিন আগে এই আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় ও প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এতে করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ এই সকল পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সরকারি ভাবে আলু ও পিঁয়াজ এর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা জগন্নাথপুরে এখনো কার্যকর হয়নি। জনস্বার্থে বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন জগন্নাথপুরবাসী।
এ ব্যাপারে বাজারে আসা সালাম, শেলিম ও সুজেল সহ একাধিক ক্রেতা তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, নিত্যেপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আলু ও পিঁয়াজ এর মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে । তিন দিন আগেও এক কেজি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় ও পিঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় ক্রয় করেছি। বর্তমানে আলু ৬০ টাকায় ও প্রকার ভেদে পিঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ আলু ও পিঁয়াজ ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে মুদি দোকান ব্যবসায়ী সারজুল, আলী হোসেন, তুলু বাবু ও চিত্তরঞ্জন সহ একাধিক বিক্রেতা তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, পাইকারীতে আলু ও পেঁয়াজ বেশি মূল্যে করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমলে খুচরা বাজারে দাম কমবে।