1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার ইউনিয়ন শাখার দ্বি বার্ষিক অধিবেশন সম্পন্ন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়ন কমিটি গঠন ফুলবাড়ীতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে পঞ্চগড়  বড়লেখা ভূমি অফিসে জালিয়াতির অপরাধে ৪জন কারাগারে লন্ডনে মৌলভীবাজার ওয়েলফেয়ার এন্ড এড্যুকেশন ট্রাষ্ট ইউকের সেমিনার অনুষ্ঠিত প্রতিভা প্রকাশ এর অফুরন্ত শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফুলবাড়ীতে ডিশলাইন সাপ্লাইয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন বারহাট্টায়  জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন গারো পাহাড় থেকে ১ হাজার ৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

কারা হবেন কিয়ামতের দিন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছে অতি প্রিয় ও সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৪ বার পঠিত
  দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ ডেস্কঃ         কারা হবেন কিয়ামতের দিন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর
কাছে অতি প্রিয় ও সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী। দুধরচকী
রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী। এ ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই অতুলনীয়। বিধর্মীরা ও তাঁর সুন্দর চরিত্র ও মানবিক গুণাবলির প্রশংসা করেছেন।
মহানবী (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেই হবে আমার অতি প্রিয় ও সর্বাপেক্ষা নিকটে উপবেশনকারী, তোমাদের মধ্যে যে সুন্দরতম চরিত্রের অধিকারী।
আর সেই হবে আমার কাছে অপ্রিয় ও সবচেয়ে দূরে অবস্থানকারী, যে বেশি বেশি ও বড় বড় কথার মাধ্যমে অহংকার করে।
শান্তিপূর্ণ সমাজ ও দেশ গঠনে ভালো মানুষের প্রয়োজন। সুন্দর চরিত্রের অধিকারী ভালো মানুষ সমাজ থেকে অশান্তি দূর করতে পারেন। পৃথিবীতে তারা গড়ে তুলতে পারেন সৌহার্দ্যের পরিবেশ। যে কারণে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের সুন্দর চরিত্রের প্রতি তার পছন্দের কথা বলেছেন। উপরোক্ত হাদিসে প্রমাণিত হয়, অহংকারী ও বাক্যবাগীশরা আমাদের সমাজের মানুষের কাছে প্রিয় নয়, তেমনি আল্লাহর রসুলের কাছে ও অপ্রিয়। নিজেকে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় উম্মত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে অহংকার ও বড় বড় কথা বলার কুঅভ্যাস ছাড়তে হবে।
শুধু অহংকারী হওয়া থেকে দূরে থাকা নয়, অপচয় ও ভোগ-বিলাসিতা থেকে ও দূরে থাকতে হবে। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সোনা অথবা রুপার পাত্রে বা সোনা-রুপামিশ্রিত পাত্রে পান করে, সে নিজের পেটে জাহান্নামের আগুন ঢালে। (দারু কুতনি থেকে মিশকাতে)।
উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে, সহজ-সরল জীবনযাপনই মুমিনদের কাম্য হওয়া উচিত। অপচয় ও ভোগ-বিলাসের মাধ্যমে জাহান্নামকে আমন্ত্রণ করা কারোরই উচিত নয়। আল কোরআনের সূরা আশ শামসের ৯ ও ১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে-ই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে এবং সে-ই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে।
উপরোক্ত দুটি আয়াতে স্পষ্ট করা হয়েছে আল্লাহর কৃপা লাভ করতে হলে নিজেকে পবিত্র করতে হবে, সব ধরনের কলুষতামুক্ত হতে হবে। নিজের আত্মাকে অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে। আল্লাহর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করতে হবে।
আমরা যদি নিজেদের জীবনকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শের আলোকে আলোকিত করতে চাই, যদি আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি চাই তবে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের শুদ্ধ করতে হবে। নিজেদের বিবেক ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কোনটি ভালো কোনটি মন্দ তা উপলব্ধি করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথের অনুগামী হওয়ার, তাঁর প্রতি অনুগতশীল হওয়ার  তাওফিক দান করুন, আমীন।
লেখকঃ  বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park