1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আগারগাঁও ফুটপাত দখল : প্রশাসনিক এলাকার সড়ক এখন হকারদের কবজায়…. পথচারীদের নিত্য দুর্ভোগ  কেক বিক্রেতা জাকিরের দখলে পুরো রাস্তা, জনজীবন স্থবির সানন্দবাড়ী প্রেসক্লাবে কমিটি ঘোষণা  ফুলবাড়ীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে গেলেন এনসিপি’র এমপি প্রার্থী ডা. আহাদ বোয়ালখালীতে রাধা গোবিন্দ সেবা মন্দিরের উদ্যোগে শারদীয় দূর্গাপূজায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  ফুলবাড়ীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বোয়ালখালীতে একুশে পদকপ্রাপ্ত ঢোলবাদক বিনয়বাঁশী জলদাসের ১১৪ তম জন্মদিবস পালিত দেওয়ানগঞ্জে বসুন্ধরা পত্রিকার ২০ বছরপূর্তি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত  রংপুর রিজিয়ন কমান্ডারের সরেজমিন পরিদর্শন, পূজা মণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দশ লক্ষ টাকার নারিকেল বেচাকেনায় মুখর ফুলবাড়ী বাজার দেওয়ানগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

আমার বাবা আমার গর্ব আমার অহংকার -হোসনেয়ারা রুমা

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬০ বার পঠিত

 

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শাহাদৎ হোসেন গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামে এক সাধারন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন ১৯৫১ সালে।
১৯৭১ সালে পাইককান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব কলীন সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার টানে দেশ স্বাধীন করার লক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন আমার বাবা। তিনি ল্যাঃ এম মফিজুর রহমানেরনে নেতৃত্বে প্রথমে গোপালগঞ্জের নিলার মাঠে প্রশিক্ষন গ্রহন করেন পরে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের চর কুলিয়া প্রশিক্ষন কেন্দ্রে উচ্চতর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। ভারতে প্রশিক্ষন শেষ করে কমান্ডার সরদার আবুল বশার এর নেতৃত্বে অস্ত্র সহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তরপর প্রথমে যশোর জেলার শালিখা থানার তালকড়ি নামক স্থান ও বড়দিয়া যুদ্ধে অংশগ্রহন করে পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। সেই যুদ্ধে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। আমার বাবার সহযোদ্ধা মোঃ আহাদ আলী ও বাচ্চু মুন্সী যুদ্ধে শহীদ হন। তিনি দেশের মধ্যে আরো কয়েক জায়গায় খন্ড যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।তিনি আজো তার হারিয়ে যাওয়া বীর শহীদ সহযোদ্ধাদের কথা মনে করে কাঁদে এবং তিনি সব সময় বর্তমান প্রজন্মকে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে অভিহিত করে আসছেন।
আমার বাবা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র জমা দেন এবং নিজ ছাত্রজীবনে ফিরে আসেন তিনি তার কর্মজীবনে ১৯৮০ সাল হতে ২০০৪ সাল পযর্ন্ত তৎকালীন থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করেন।
দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধাদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করে গেছেন। তিনি আমার বাবা আমার গর্ব, আমারই অহংকার, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বিজয়ের এই মাসে আমি আমার বাবাকে ও দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park