হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের হাওরে রোপণকৃত বোরোধান এর চারাগাছ জবরদখল এর চেষ্টাকারীরা উপড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বর্গা চাষী মনু মিয়া চারজন এর নাম উল্লেখ করে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের উত্তর পার্শ্বে কান্দাগাঁও- নোয়াগাঁও গ্রাম পার্শ্ববর্তী এলাকায় পৌর শহরের হবিবপুর( দক্ষিণপাড়া) গ্রাম নিবাসী মৃত আব্দুল মজিদ এর মেয়ে রুমি বেগম এর ( জগন্নাথপুর উপজেলার মৌজা- কামারখাল, জে,এল নং-২,খতিয়ান নং এস,এ-৩৪৪,আর এস-৭০৯,এস,এ-৩১৯, আরএস দাগ নং-৪৬৬,৪৬৭,৪৬৯) ১.০৬ একর বোরো জমি জগন্নাথপুর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম নিবাসী আব্দুস শহীদ এর ছেলে বর্গাচাষী মনু মিয়া প্রতি বছরের ন্যায় চাষাবাদ করে ভূমির মালিক রুমি বেগমকে নিয়মানুযায়ী ভাগের ধান দিয়ে আসছেন। এই ভূমি নিয়ে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম নিবাসী মৃত রইছ আলীর ছেলে জবরদখল এর চেষ্টাকারী বাবুল মিয়া গংরা ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ আদালতে সত্ব মামলা দায়ের করলে ২০২৩ সালের ১৭ ই অক্টোবর আদালত মামলাটি খারিজ করেছেন। বর্গাচাষী মনু মিয়া চলতি বোরো মৌসুমে বিগত বছর গুলোর ন্যায় এই জমিতে বোরোধান এর চারাগাছ রোপন করেন।তবে বিগত ৩১ শে ডিসেম্বর রোজ রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রাম নিবাসী আব্দুস শহীদ এর ছেলে এই জমি জবরদখল এর চেষ্টাকারী বাবুল মিয়া গং ব্যাক্তিবর্গ জমিতে রোপণকৃত ধানের চারাগাছ উপড়ে ফেলার পাশা-পাশি পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এতে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এই ঘটনায় মনু মিয়া বাদা প্রদান করিলে বাবুল মিয়া গংরা তাকে মারতে উদ্যত হয়। মনু মিয়ার শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এবং মনু মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে বাবুল মিয়া গংরা চলে যায় । এ ব্যাপারে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে মনু মিয়া বাদী হয়ে ৩১ শে ডিসেম্বর রাতে বাবুল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মনু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি রুমি বেগম এর এই জমি বর্গা হিসাবে চাষাবাদ করে আসছি। গত কয়দিন আগে জমিতে বোরোধান এর চারাগাছ রোপন করেছি। গতকাল বাবুল মিয়া গংরা এই জমি দখল করতে আমার চোখের সামনে রোপণকৃত ধানের চারাগাছ উপড়ে ফেলার পাশাপাশি পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারতে উদ্যত হয়। আমারা আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। এমনকি এবিষয়ে কারো নিকট বিচার প্রার্থী হলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেছে। আমি নিরূপায় হয়ে থানার আশ্রয় নিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে বাবুল মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।