দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ ডেস্কঃ
সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ, সিলেট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, সিলেট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১/০৫/২০২৫ খ্রিঃ রাত ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ইছাকলস ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রুবেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং আসামী জাকারিয়া আহমদ (৩৫), পিতা-মৃত আশিক মিয়া, সাং-বাগজুর উত্তর পাড়া, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, জেলা-সিলেটকে গ্রেফতার করা হয় এবং আসামীর দেখানো মতে তাহার বাড়ির পিছনের ঝোপঝাড় হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত একটি কেচি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, গত ২৮/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন ইছাকলস ইউনিয়নের বাগজুর সাকিনের বাসিন্দা রুবেল আহমদ ইয়াহিয়া (২৫), পিতা-মৃত আশিক মিয়া, সাং-বাগজুর উত্তর পাড়া, থানা-কোম্পানীগঞ্জ, জেলা-সিলেট খুন হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা বেগম (২৩) বাদী হয়ে ০১ জনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় উক্ত হত্যা মামলা দায়ের করে। বিগত ০৮ মাস পূর্বে ভিকটিম রুবেল আহমেদ এহিয়া (২৫) এর সহিত বাদীর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাদী জাকারিয়া (৩৫) বাদীর স্বামীর বড় ভাই হয়। বিবাদীর সহিত বাদীর স্বামীর টাকা পয়সা নিয়া পূর্ব হইতে বিরোধ চলে আসতেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া গত ২৮/০৪/২০২৫ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯.১০ ঘটিকার সময় বাদীর স্বামীর সহিত বিবাদীর তর্কাতর্কি হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বিবাদী জাকারিয়া (৩৫) ধারালো কেচি দিয়া বাদীর স্বামী রুবেল আহমদ এহিয়া (২৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তৎক্ষনাৎ প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীগণ বাদীর স্বামীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর স্বামীকে গত ২৮/০৪/২০২৫ ইং তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার মৃত ঘোষণা করেন।
#কপি