হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের পল্লীতে ধান বিক্রিকে কেন্দ্র করে মামুর হাতে ভাগনা মোক্তার (১৫) নামক কিশোর খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘাতক মামা আজিদ (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
এলাকাবসী ও পুলিশ সুত্রে ঘটনার বিবরণে জানাযায়, সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার ইসিবপুর গ্রাম নিবাসী মোঃ মিন্টু মিয়া’র ছেলে মোঃ মোক্তার মিয়া (১৫) শৈশব থেকে তার নানার বাড়ী জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দী ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কাঠাইলখাইড় গ্রাম নিবাসী মাহির উল্লাহ ( ভিকটিম মোক্তার মিয়ার নানা) এর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল।গত ৩ রা জুন রোজ শনিবার তার আপন মামা আজিদ আলী(২৬) এর ধান বিক্রি নিয়ে মামা -ভাগনার মধ্যে মনোমালিন্য হয়। অন্যান্য দিনের ন্যায় ৪ ঠা জুন রোজ রবিবার সকাল প্রায় ১০ ঘটিকার দিকে মোক্তার মিয়া(১৫) তার নানার বসত বাড়ীর পুকুর ঘাটে যায়। এসময় অতর্কিত ভাবে আপন মামা আজিদ আলী (২৬) কাপড় কাটার কাঁচি দিয়ে ভাগনা মোক্তার মিয়া (১৫) এর পিঠে, কোমড়ে গলার ডান পাশে ও ঘাড়ের পিছনে ঘাই মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মোক্তার মিয়া (১৫) পুকুর ঘাটে ঢলে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে মোক্তার মিয়া (১৫) কে আত্বীয় -স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মোক্তার মিয়া মৃত্যু বরন করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) এএসপি শুভাশিষ ধর,জগন্নাথপুর থানার এসআই মোঃ জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার, এসআই সাব্বির রহমান, এসআই মোঃ শামছুল আরেফিন, এসআই ওবায়দুল্লাহ, এসআই সাইফুদ্দীন ও এএসআই তালেব আলী সহ এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক আজিদ আলী(২৬)কে গ্রেপ্তার করে থানায় এনেছে। আর নিহত ভিকটিম মোক্তার মিয়া’র লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) এএসপি শুভাশিষ ধর বলেন, ঘাতক আজিদ আলী(২৬)কে আটক করা হয়েছে।পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।