1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

শেরপুর সদর থানা পুলিশ কর্তৃক ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার হয়

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

[ ৫ মে, ২০২৩ খ্রি.]

গত ২০/০১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৮.২৫ ঘটিকার সময় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া শেরপুর সদর থানাধীন বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া সাকিনস্থ জনৈক মোঃ হামিন উদ্দিন এর মেহগনি কাঠ বাগান এর ভিতর হইতে রফিক মিয়া (৫৫), পিতা- মৃত শাহা ফকির, সাং- প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া, থানা- শেরপুর সদর, জেলা- শেরপুর এর লাশ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও মৃতের আত্মীয় স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে গত ১৯/০১/২০২৩ তারিখ রাত ১১.৩০ ঘটিকার সময় রাতের খাবার শেষে রফিক মিয়া বাড়ী হইতে বাহির হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে বাড়ীতে না ফিরে আসায় খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে মৃতের আত্মীয় স্বজন গত ২০/০১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় শেরপুর সদর থানাধীন বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া সাকিনস্থ জনৈক মোঃ হামিন উদ্দিন এর মেহগনি কাঠ বাগান এর ভিতর রফিক মিয়ার মৃত দেহ দেখতে পায়। পরবর্তীতে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানার মামলা নং-৩৭ তাং-২০/০১/২০২৩ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ রুজু করা হয়।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ)/ খন্দকার সালেহ্ আবু নাঈম মামলা তদন্তকালে বাদীর সন্দেহের ভিত্তিতে প্রথমে ০৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে বিজ্ঞ আদালত ০২ জন আসামীকে ০১ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আনিয়া জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেওয়া তথ্যমতে ডিসিষ্ট এর ভাতিজা ১। মোঃ ওয়াসিম মিয়া (৩৪), ২। মোঃ জসিম মিয়া (৩৬), ৩। মোঃ জিয়ার আলী (৩৮), ৪। মোঃ আলম মিয়া (২৮), ৫। মোঃ ফয়সাল মিয়া (২৫), সর্ব পিতা- মৃত আব্দুল মোতালেব, সর্ব সাং- প্রতাবিয়া, থানা- শেরপুর সদর, জেলা- শেরপুরদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়।

উক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিভ্রান্তি মূলক তথ্য প্রদান করিয়া হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যম ও স্থানীয় তদন্তে উপরোক্ত ব্যক্তিদের মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে প্রমান পাইয়া উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সহিত আলোচনা পূর্বক উক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ০১ জন সাক্ষীকে সনাক্ত পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করিলে উক্ত সাক্ষী স্ব-প্রনোদিত হইয়া বিজ্ঞ আদালতে উপরোক্ত আসামীদের জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

ধৃত আসামীদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের ০১ দিনের জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ প্রদান করেন। জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করিলে বিজ্ঞ আদালত ০১ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ রিমান্ডে আনিয়া নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদকালে ধৃত আসামীগন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করিয়া বলে যে, পূর্বের মামলার বিষয়ে আলোচনা করিবে বলিয়া ঘটনার রাতে ডিসিষ্ট রফিক মিয়াকে বাড়ী হইতে ডাকিয়া আনিয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আসামী ১। মোঃ ওয়াসিম মিয়া (৩৪), ২। মোঃ জসিম মিয়া (৩৬), ৩। মোঃ জিয়ার আলী (৩৮), ৪। মোঃ আলম মিয়া (২৮), ৫। মোঃ ফয়সাল মিয়া (২৫), সর্ব পিতা- মৃত আব্দুল মোতালেব, সর্ব সাং- প্রতাবিয়া, থানা- শেরপুর সদর, জেলা- শেরপুর সহ আরো কয়েকজন আসামী একত্রিত হয়ে ডিসিষ্ট রফিক মিয়াকে শেরপুর সদর থানাধীন বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া সাকিনস্থ জনৈক মোঃ হামিন উদ্দিন এর মেহগনি কাঠ বাগান এর ভিতর নিয়া চাপাতি দ্বারা কুপাইয়া নির্মমভাবে হত্যা করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগন স্বীকার করে যে, হত্যাকান্ড সংঘটনের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ঘটনাস্থলের ১৫০ গজ পূর্ব দিকে ডিসিষ্ট রফিক মিয়ার পুকুরে ফেলে দেয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ভোর ০৪.০০ ঘটিকা হইতে ০৪টি সেচ পাম্প দিয়ে পুকুরের পানি সেচে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ধৃত আসামী মোঃ ওয়াসিম মিয়ার সনাক্তমতে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীদের রিমান্ড শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ সংক্রান্তে আজ শুক্রবার (৫ মে ২০২৩) বিকেল ৫ ঘটিকায় শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়।

এসময় জনাব মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), শেরপুর; জনাব মোঃ সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), শেরপুর সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park