স্টাফ রিপোর্টারঃ শেভরনের অর্থায়নে পরিচালিত উদ্যোক্তা প্রকল্পের অধীনে আইডিই বাংলাদেশ সিলেট জেলার হোটেল মেট্রো ইনটারন্যাশনাল এ প্রাণী বীমা বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালার আয়োজন করে। এটি ছিল একটি অর্ধ-দিবস অনুষ্ঠান যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে স্থায়িত্বশীল ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রকল্প সহায়তাপুষ্ট সমবায় সমিতিগুলির দ্বারা ক্রয়কৃত ১৩০ টি গবাদি পশু (গরু) জন্য প্রাণী বীমা করার মাধ্যমে তাদের বিনিয়োগ ঝুকিমুক্তকরণের সুফল এবং শিক্ষণীয় বিষয়গুলি সম্পর্কে সমিতির সদস্য এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের অবগত করা। এই কর্মশালা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ অর্থাৎ সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। পরিশেষে, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত ১টি গরুর মৃত্যু জনিত প্রানীসম্পদ বীমা কাভারেজ চেক সংশ্লিষ্ট সমিতির মাঝে হস্তান্তর করেন সরকারী পর্যায়ের সম্মানিত কর্মকর্তাগণ এবং শেভরনের প্রতিনিধিগণ।
উদ্যোক্তা প্রকল্প একটি সাড়ে তিন বছরের (২০২০-২০২৩) প্রকল্প যা শেভরনের বাংলাদেশ পার্টনারশিপ ইনিশিয়েটিভের (দ্বিতীয় পর্যায়) অধীনে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে শেভরন এবং আইডিই বাংলাদেশের মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে চালু হয়েছিল। অংশীদারিত্বটি সিলেট বিভাগের শেভরন এর বিপিআই অধীনস্থ এলাকার অন্তর্গত সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জে উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়ন, স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরি এবং বাজার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় ও জীবিকার উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশে শেভরনের বিনিয়োগকে প্রসারিত করার প্রয়াস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই কর্মশালার প্রধান সঞ্চালোকের দ্বায়িত্ব পালন করেন আইডিই বাংলাদেশের হেড অব পার্টনারশীপ আফজাল হোসেন ভূইয়া ও সহয়তা কারী হিসাবে ছিলেন জনাব মোঃ হান্নান আলী, প্রযেক্ট কর্ডিনেটর, উদ্যোক্তা প্রকল্প, আইডিই বাংলাদেশ।উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি তার মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ হিসাবে বলেন বাংলাদেশ চোখে পড়ার মতো উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য লাইভস্টক সেক্টরের যে উন্নতি ঘটছে এক্ষেত্রে শেভরন ও আইডিই এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত উদ্যোক্তা প্রকল্প অভুতপূর্ব অবদান রেখে চলেছে এবং আজকের এই প্রাণী বীমা বিষয়ক অভিজ্ঞতার আলোকে এর খামারীদের বিনিয়োগ ঝুকি মূক্ত করতে ফলপ্রস্যু হবে। তিনি তার পরামর্শ হিসাবে বলেন স্থানীয় পর্যায়ে গরুর পোষ্টমর্টেম জটিলতা নিরসনের জন্য প্রাণী সম্পদ অফিসে রেজিস্টারকৃত ভ্যাটেরিনারী ডাক্তাররা সহয়তা করতে পারে। সর্বোপরি এই ধরনের প্রানবন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য শেভরন ও আইডিই বাংলাদেশকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেভরন বাংলাদেশ থেকে জনাব মোঃ ফেরদৌস, অ্যাডভাইজার, ফিল্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও আলী আশরাফ চেীধুরী, সোসাল ইনভেষ্টমেন্ট এডভাইজার, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স। জনাব মোঃ ফেরদৌস বলেন উদ্যোক্তার কার্যক্রমে তিনি খুবই খুশি যার কারনে প্রান্তিক লেভেলে ইনোভেটিভ পদক্ষেপ চালু হচ্ছে এবং এই ধরনের প্রাণী বীমার প্রচলন গ্রাম উন্নয়ন সমিতি ও উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ঝুকি কমানো সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরর পরিচালকের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ আছির উদ্দিন এবং তিনি তার মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ হিসাবে বলেন নিঃসন্দেহে এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ যার মাধ্যমে খামারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পাবে এবংএটি সারা দেশে চালু করা দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (প্রশাসন) জনাব রুপ রতন পাইন বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তার মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ হিসাবে বলেন ব্যাংক লোন পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রাণী বীমা পলিসি খুবই সহায়ক ভুমিকা পালন করবে কারন এটি খামারীদের বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করে। তবে এই ধরনের প্রোগ্রামে আসতে পেরে তিনি শেভরন ও আইডিই বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।এছাড়া ফনিক্স ইনসুরেন্স কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্লেইম বিভাগের ইনচার্জ জনাব মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আমরা খামারী বান্ধব পলিসি তৈরী করতে পদ্দক্ষেপ নিব এবং আমরা অদুর ভবিষ্যতে পলিসির প্রিমিয়ামে সিথিলতা আনতে পারি।
সিলেট জেলা দুগ্ধ খামারের বর্তমান উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (অ.দা.), ডা. মু. আলমগীর কবির; সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার, প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মুল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও ছিলেন আইডিই প্রতিনিধি, এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধি। অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিই-এর হেড অব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ মোঃ আফজাল হোসেন ভূঁইয়া।
উল্লেখ্য আনুমানিক ৩৫ জন উদ্যোক্তা ও গ্রাম উন্নযন সমবায় সমিতির প্রতিনিধিরা এই কর্মশালাতে অংশ নিয়েছিলেন, যারা এখানে বিভিন্ন প্রাণী বিমা বিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং সরকারী ও বেসরকারী খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন যাদের সাথে তারা পরবর্তীতে প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত এরূপ কারিগরী সহযোগিতার জন্য সহজেই যোগাযোগ করতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক, প্রাণী স্বাস্থ্যবীমা ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান এবং এনিম্যাল ফিড কোম্পানীর প্রতিনিধিগণও এখানে অংশগ্রহণ করেন। উদ্যোক্তা প্রকল্পের সমিতিগুলি ও উদ্যোক্তারা এমন একটি আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতার অংশ হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রোগ্রাম শেষে গরুর মৃত্যু জনিত প্রাণী বীমা কাভারেজ চেকটি সমিতির প্রতিনিধের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শেভরন বাংলাদেশ সর্বস্তরেই সমাজের মানুষজনকে নিয়ে কাজ করে যেন তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ি সম্পর্ক স্থাপন করা যায় যা তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে। বিশ্বব্যপীই এ ধরণের সামাজিক বিনিয়োগ শেভরন কর্পোরেশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বাংলাদেশে শেভরন ২০০৬ সাল থেকে সামাজিক বিনিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শেভরন বাংলাদেশ মূলত এমন কার্যক্রম এবং প্রোগ্রামগুলিতে বিনিয়োগ করে যা প্রাথমিকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণ , প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা্দরে সহযোগিতার উপর প্রাধান্য দেয়। এই প্রকল্পগুলির বেশিরভাগই শেভরন নেতৃস্থানীয় বেসরকারী সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনা করে।
আইডিই একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যারা নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করে যেন তারা বহুবিধ প্রতিকূলতা মোকাবেলায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে আইডিই তার প্রথম কান্ট্রি প্রোগ্রাম হিসেবে যাত্রা শুরু করে ১৯৮৪ সালে