1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্যর পূর্নাঙ্গ কমিটির সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মপাশায় পালিত হল মা সমাবেশ রাজশাহীতে কয়েদির মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় বালাগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ ও প্রবাসীদের সংবর্ধনা জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথপুরে র‌্যালী ও আলোচনা সভা বেলকুচিতে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিবস অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে উত্তরণ ফাউন্ডেশনের বেদে জনগোষ্ঠীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ কলকলিয়ায় “ক্যামব্রিজ লার্ণিং একাডেমী” এর শুভ উদ্বোধন বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠী’র নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগের উন্নয়ন প্রচারে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ও লিফলেট বিতরণ করেন এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া

মিতু হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামি কালু গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ৬০ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার চার্জশিটভু্ক্ত আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

শনিবার ভোরে পিবিআই নগরীর বিশ্বকলোনী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। পিবিআইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত কালু মিতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চার্জশিটভুক্ত আসামি। খাইরুল ইসলাম কালু মোটরসাইকেল থেকে মিতুকে টার্গেট করে গুলি করেছিল।

রাঙ্গুনিয়া থানার একটি মামলায় পিবিআই কালুকে গ্রেপ্তার করেছে জানিয়েছে থানার ওসি মাহবুব মিল্কী বলেন, মিতু হত্যা ছাড়াও ২০১২ সালে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন কালু। পিবিআই তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।

মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। সেখানে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকেই খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুনের দিন কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন বলে পিবিআইর দাবি।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। বাবুল তার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি হয়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের ১৯ দিন পর ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুলকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। তার কিছু দিন পর পুলিশের চাকরিও ছেড়ে দেন তিনি।

বাবুলকে জিজ্ঞসাবাদের দুদিন পর ২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ। তারা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার ‘পরিকল্পনাতেই’ এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানান, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন।

খুনের পর মুছার সন্ধান এখনও জানা যায়নি। তার স্ত্রী পান্না আক্তার ২০১৬ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, ওই বছরের ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বন্দর এলাকায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির বাসা থেকে মুছাকে ধরে নিয়ে যান।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ দাবি নাকচ করে দিয়েছিল। এর তিন মাস পর ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সিএমপি তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার মুছা ও কালুর সন্ধান পেতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।

তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। তখন বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

তবে আদালতের নির্দেশে সেই মামলার সমাপ্তি ঘটে এবং বাবুলের মামলাটিই পুনরুজ্জীবিত হয়। এ বছরের ৯ এপ্রিল প্রথম সাক্ষী মিতুর বাবা মোশাররফের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাবুলসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়।

বাবুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু।

হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্তির তিন দিন আগে কালু গ্রেপ্তার হলেও মুছা এখনও পলাতক।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park