স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরের পল্লীতে সরকারি খাস ভূমিতে মফিজ আলী নামক এক ব্যক্তি দালান ঘর নির্মাণ এর কাজ শুরু করেছিলেন। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এই দালান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
২৩ শে জানুয়ারী রোজ মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বালিকান্দী (নতুন পাড়া) গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ আজিম উল্লাহ এর ছেলে মোঃ মফিজ আলী কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ঢালিয়া নদীর পশ্চিম পাড়ে (মৌজা বালিকান্দী , খতিয়ান নং১, দাগ নং- ১০২১, জেএল নং-২৯) সরকারি খাস ভূমিতে দালান ঘর নির্মাণ এর কাজ করছেন। এমন খবর পেয়ে গত ২২ শে জানুয়ারী রোজ সোমবার কলকলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা খান গৃহনির্মাণস্থলে পৌঁছে সরকারি খাস ভূমিতে দালান ঘর নির্মাণ না করতে মফিজ আলীকে নিষেধ করে আসেন। এবং বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে অবহিত করেন। কিন্তু মফিজ আলী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২৩ শে জানুয়ারীও কাজ চালিয়ে গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহীম ভূঁইয়া সা-আধকে অবহিত করলে তাঁহার নির্দেশে কলকলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা খান ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য মফিজ আলীকে বলেছেন। বর্তমানে এই গৃহ নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কলকলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর সহকারী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা খান বলেন, মফিজ আলী সরকারি খাস ভূমিতে গৃহনির্মাণ(দালান ঘর) করছেন এমন খবর পেয়ে ২২ শে জানুয়ারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ বন্ধ করে আসি। কিন্তু তিনি কাজ বন্ধ না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৩ শে জানুয়ারী রোজ মঙ্গলবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় এর নির্দেশনায় ফের এই গৃহনির্মাণ কাজ বন্ধ করে এসেছি।
এ ব্যাপারে মফিজ আলীর ছেলে ফটিক মিয়া একান্ত আলাপকালে বলেন, এই ভূমি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছি। তাই আমরা গৃহনির্মাণ করতে চাচ্ছি। এখানে কাজ না করতে তহশিলদার সাহেব বলেছেন। আমরা কাজ বন্ধ করেছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহীম ভূঁইয়া সা-আধ বলেন, বিষয়টি অবগত আছি।খাস ভূমিতে গৃহনির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে গৃহনির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।