হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টাঃ
জগন্নাথপুরে টেইলারিং শিল্পে কর্মব্যস্ততা নেই বললেই চলে। টেইলারিং শিল্পীরা দোকানে কাজকর্ম না পেয়ে দিনের অধিকাংশ সময় কর্মহীন কাটাচ্ছেন। আর সমাগত ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সহনশীল মূল্যে আধুনিক ডিজাইনের পোশাকাদী ক্রয়ে জনসাধারণ বিপণী বিতান মূখী হয়ে পড়েছেন।
আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকী। চলতি পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক এর ত্রিশটি রোজা শেষে মুসলিম উম্মাহ’র ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্টিত হবে। আর ধর্মীয় অন্যান্য উৎসব এর মতো প্রতিবারই পবিত্র রমজানুল মোবারক এর শুরু থেকেই জগন্নাথপুরে টেইলারিং শিল্পে কর্মব্যস্ততা কিছুটা হলেও চোখে পড়ার মতো থাকে। কিন্তু এবারের রমজানুল মোবারক প্রায় শেষের দিকে ত্রিশটি রোজা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতর প্রায় সমাগত হলেও আজো অবদি টেইলারিং শিল্পে কর্মব্যস্ততা নেই বললেই চলে। দোকানে কাজকর্ম তেমন নেই বললেই টেইলারিং শিল্পীরা অলস সময় পার করছেন। ৪ ঠা এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায় , চলতি রমজান প্রাশ শেষের দিকে হলেও জনসাধারণের গার্মেন্টসে তৈরী পোশাকাদির প্রতি চাহিদা থাকায় ও জোগান থাকায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ সবকটি হাটবাজারস্থ টেইলারিং দোকান ও গ্রামাঞ্চলের দর্জি বাড়ীতে কাজকর্ম তেমন নেই। টেইলারিং শিল্পীরা অলস সময় পার করছেন এবং দৈনন্দিন খরচা মিটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ক্রেতা সাধারণ নিজের ও পরিবারের জন্য আধুনিক ডিজাইনের পোশাকাদি সহনশীল মূল্যে ক্রয় করতে টেইলারিং এর পরিবর্তে বিপণী বিতান মূখী হয়ে পড়েছেন। টেইলারিং এর চেয়ে বিপণী বিতানে মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মতো।
এ ব্যাপারে টেইলারিং শিল্পী অর্থাৎ দর্জি গণেশ, মালেক, সুহেন ও সাগর একান্ত আলাপকালে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দুই বছর আগেও রোজার আগেই কাজ শুরু হতো। ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসব ঘিরে আগে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য থাকলেও এখন চিত্র মলিন। এবার রোজা প্রায় শেষের পথে ঈদ সামনে এখনো কাজের কাজ তেমন নেই। দৈনন্দিন খরচা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এব্যাপারে পোশাক ক্রেতা তোড়ন মিয়া, জয়নুল, রাসেল, ফয়সল ও রনেশ সহ আরো অনেকেই তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, কাপড় ক্রয় করে টেইলারিংয়ে পোশাক তৈরী করতে বাড়তি টাকা গুনতে হয়। অথচ এর চেয়ে অনেক কম দামে চাহিদা মতো পোশাক মিলছে বিভিন্ন বিপণী বিতানে। সাধ্যের মধ্যে নিত্যু-নতুন আধুনিক ডিজাইনের রেডিমেড পোশাক কিনতে পারছি।