মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্ৰামের (৯ম শ্রেনীর মেয়ে) কে পার্শ্ববতী ইতনা গ্ৰামের কামাল শেখের ছেলে মারুফ শেখের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে,
ছোটো বেলা থেকে মারুফ করফা গ্রামে তার নানা রাইজু শেখ এর বাড়িতে থেকে বড় হয়েছে,এবং সে নানা বাড়িতেই থাকে,
মারুফ শেখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক কর্মচারী হিসাবে সিভিলে খুলনা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত আছে, এবং চাকুরী থেকে মারুফ শেখ ছুটিতে এসে ওই কিশোরী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতো
ঘটনাটি দুই পরিবারের মাঝে একটু জানাজানি হলে মারুফ ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে,
প্রেমিকের প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করায় কথা শুনে ওই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।তখন পরিবারের উপস্থিতিতে সে বেঁচে যায়,
পরবর্তীতে মারুফ শেখ ওই কিশোরীর সাথে পূনরায় আবার মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আবার ও শারীরিক সম্পর্ক করে বলে জানান ওই কিশোরী
গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে মারুফ শেখ ছুটিতে বাড়িতে আসে এবং ওই রাতে কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে সু কৌশলে তাকে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে, তখন ওই কিশোরী সেটা না করতে চাইলে অনেক ধস্তাধস্তি করে মারুফ তার সাথে, এ-সময় প্রতিবেশী এক নারী ওই শব্দ শুনে বাইরে এসে পুকুর পাড়ে লাইট মারলে তাদের দেখে ফেলে।
এসময় মারুফ ওই কিশোরীকে সেখানে ফেলে দৌড়ে গিয়ে নানা রাইজু শেখ এর বাড়িতে ওঠে।
এ সময় সেখানে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়,এরপরে ওই কিশোরী মারুফ শেখের নানা রাইজু শেখ এর বাড়িতে যেয়ে ওঠে, এরপরে মারুফ এর নানা ও নানি মিলে ওই কিশোরীকে মারধর সহ শারীরিক নির্যাতন চালায়।
এসময় কিশোরীর পরিবার কিশোরীকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪ দিন চিকিৎসা দিয়ে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মারুফ কে আসামি করে লোহাগড়া থানায় ১ টা এজাহার জমা দেয়।
এর মধ্যে ওই কিশোরী হাসপাতালে থাকার সময়ে করফা গ্রামের কিছু মাতুব্বরদের একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মারুফ এর নানা বাড়িতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে, এবং কিশোরীর পরিবারকে বিভিন্ন বুঝ বাজ দিতে থাকে।
এঘটনায় শুক্রবার ১২ এপ্রিল রাতে লোহাগড়া থানার এসআই শুকুর, এসআই সৈয়দ আলী,এবং এএসআই মিকাইল অভিযান চালিয়ে করফা গ্রামে মারুফের নানা রাইজু শেখ এর বাড়ি হতে মারুফ কে গ্রেপ্তার কর।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাঞ্চন কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি মারুফকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন মারুফের নামে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে এবং মারুফকে গ্রেফতার করে তাকে মহামান্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।