1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভা। প্রভাষক শরীফুজ্জামান শরিফ কে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে মাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কাশিমপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও কমিটি গঠন সময় সংবাদের প্রতিনিধি সজিব এর ওপর নড়াইল জেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির হামলা। রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও মর্যাদা। জগন্নাথপুরে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার সহ ২ জন গ্রেপ্তার গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামীঅলীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক মে দিবস পালন। সারা দেশের নেয় পঞ্চগড়েও মহান মে দিবস পালিত বারহাট্টার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথপুরে শ্রমিক সমাবেশ কোম্পানীগঞ্জে চমক দেখাতে পারেন মজির উদ্দিন

রাজশাহীর দূর্গাপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত

মোঃ সিহাবুল আলম সম্রাট, বিভাগীয় ব্যুরো চিফ, রাজশাহী

রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের বরাদ্দকৃত নাস্তার টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সুত্র জানায় , দূর্গাপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৮ টি কিশোর কিশোরী ক্লাব রয়েছে , প্রত্যেকটি ক্লাবে ৩০ জন করে কিশোর কিশোরীরকে প্রতি শুক্র ও শনিবার নাচ, গান, নিত্য, কেরাত ইত্যাদি শেখানো হয়। আর সেই সাথে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে মাথাপিছু ৩০ টাকার নাস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোর কিশোরী ক্লাবের একাধিক শিক্ষক জানান, ক্লাসে পাঁচ থেকে সাতজন কিশোর কিশোরী উপস্থিত থাকেন , কোনদিন আবার সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ জনও উপস্থিত থাকেন।

শিক্ষকরা আরো জানান , সপ্তাহে মাত্র একদিন নাস্তা দেওয়া হয়, মাঝে মাঝে দেওয়া হয় না । আমরা জানতে চাইলে বলেন ‘বরাদ্দ আসে নাই বরাদ্দ আসলে আবার দেওয়া হবে’। এভাবেই চলতে থাকে কিশোর কিশোরী ক্লাব । আর গত সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার কোন নাস্তা দেওয়া হয় নি ।

সেখানে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের মাথাপিছু ৩০ টাকা করে নাস্তা বরাদ্দ আছে কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে মাথাপিছু মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকার নাস্তা দেওয়া হতো বাকি টাকা আত্মসাৎ করেতেন এবং প্রত্যেক ক্লাবে আট থেকে দশ জনের নাস্তা দেওয়া হতো। আর বাকি শিক্ষার্থীদের কোন নাস্তা দেওয়া হতো না।

এ বিষয়ে দূর্গাপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেন্ডার প্রমোটোর শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দূর্গাপুর পৌরসভার সিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ নং মাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩ নং পানাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫ নং ঝালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিশোর কিশোরী ক্লাবের দেখাশোনার দায়িত্বে আছি।

প্রতি শুক্র শনিবার ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। উপস্থিতির দিন পর্যাপ্ত ছেলেপেলে উপস্থিত থাকে না কিছু কম বেশি থাকে। আর ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অফিসিয়াল ব্যাপার অফিসের কর্মকর্তা জানেন বলে এড়িয়ে যান।

অপরদিকে কিশোর কিশোরী ক্লাবের দায়িত্বরত জেন্ডার প্রোমোটর খাদিজাতুল কোবরা এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বাদইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজুখলসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পালশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে আছি। তিনি বলেন ছাত্র-ছাত্রী সবগুলো উপস্থিত না থাকলেও মোটামুটি উপস্থিত থাকে সপ্তাহে দুই দিন বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। তবে গত সপ্তাহ কিশোর কিশোরীদের কোন নাস্তা দেওয়া হয় নি’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দূর্গাপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন মুঠোফোনে জানান, ‘আমি পবাতে আসছি। ওখানে(দূর্গাপুর) যে জয়েন্ট করবে তাকে আমি চার্জ বুঝিয়ে দিব। কিশোর কিশোরী ক্লাবের বাচ্চাদের নাস্তার বিষয় জানতে চাইলে, তিনি বলেন ওখানে জেন্ডার প্রমোটর আছে তারা এগুলোর দায়িত্ব পালন করেন। গত শুক্রবার ও শনিবার নাস্তা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন হয়তো বরাদ্দ নাই তাই দেওয়া হয় নাই’। আপনি তাদের সাথে কথা বলেন বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

এ বিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিকের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি তিনি বলেছেন দূর্গাপুরে একটা নতুন মহিলা বিষয় কর্মকর্তা দিবেন। তিনি যোগদান করলে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park