সিহাবুল আলম সম্রাট
বিভাগীয় ব্যুরোচিফ রাজশাহী
আসন্ন ২১জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘীরে নগরজুড়ে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চলছে ব্যাপকহারে। রাসিকের ৭ নং ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে আবারো নির্বাচনে বিজয়ী হতে শতভাগ আশাবাদী মতিউর রহমান মতি। তাঁর ওয়ার্ডে শতকরা ৭০ শতাংশ উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। বাকী ৩০ শতাংশ কাজ আবারও নির্বাচিত হয়ে শেষ করতে চান তিনি।
গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎ মতিউর রহমান মতি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন, মেয়াদের সাড়ে তিন মাস পূর্বে ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক করোনা কালীন ২ বছর ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিলো। এটা সারা পৃথিবীজুড়ে ঘটেছে। আমরা আমাদের ওয়ার্ডে আড়াই বছর ঠিকমতো কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই অল্প সময়ের মধ্যে সমগ্র রাজশাহী সিটি’র উন্নয়ন হয়েছে। আমার ওয়ার্ডটি রাজশাহী সিটি’র প্রাণকেন্দ্রের একাংশ। যখন সমগ্র সিটি’র উন্নয়ন দৃশ্যমান তখন আমার ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে বলতে হয় না। সিএনবি মোড় থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত রাস্তাঘাট ও সবুজায়ন গাছপালায় মনমুগ্ধ পরিবেশ সকলের নজর কেড়েছে। ওয়ার্ডে ৭০ ভাগ কাজ সম্পুর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। আমার চাহিদার ৩০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ আছে। আল্লাহ যদি চান আগামী নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পুর্ণ করবো ইনশাআল্লাহ। আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। ওয়ার্ডের বেকার শিক্ষিত তরুণ যুবকদের কর্মসংস্থান নিয়েও কাজ করবো। বেকারদের পরনির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলবো। বিভিন্ন ট্রেডে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে আমার ওয়ার্ডের প্রতিপক্ষ প্রার্থীর। প্রতিপক্ষ প্রার্থী গত নির্বাচনে যেভাবে সংন্ত্রাসী কায়দায় পুলিশসহ রিটানিং কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবারো এমনটা হওয়া নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। প্রতিপক্ষ নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন করে রাত ১০ টার পর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। এ বিষয়গুলো ওয়ার্ডে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, আমি একটি সুন্দর পরিকল্পিত স্মার্ট ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করি, কারো রক্তচক্ষু না দেখে আপনারা সবাই ২১ জুন ভোট কেন্দ্রে যাবেন। সুচিন্তিত মতে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। আপনার মূল্যবান ভোট ৭নং ওয়ার্ডে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধসহ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়তে সহায়তা করবে। আগামী ৫ বছর যাকে পছন্দ হবে, বা যাকে দিয়ে উন্নয়ন হবে তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আমি আশাবাদী।
আমার কর্মী সমর্থকরা, উপক্ষা করে ইভিএম পদ্ধতিতে কিভাবে ভোট প্রদান করতে হয় তা শিখাচ্ছেন। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটারকে ইভিএম’এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখানো হয়েছে।
মোঃ মতিউর রহমান মতি বলেন, আমি জনগণের কল্যাণে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে চাই এবার কাউন্সিলর হলে কর্মসংস্থানের জন্য একটি বিশাল ব্যবস্থা করতে পারব যুবক যুবতীদের জন্য।কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ মতিউর রহমান মতি ৭নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে টিফিন ক্যারিয়ার মার্কায় ভোট ও দোয়া চেয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগনের ভোটের মাধ্যমে আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে চাই। ইনশাআল্লাহ আমার ওয়ার্ডবাসীর আশা ও আস্থা আমাকে আরো সাহসী করেছে। নির্বাচনে যদি আমি জয়লাভ করি তাহলে এই জয় আমার হবে না, এই জয় হবে ৭নং ওয়ার্ডবাসীর।