মোঃ আজির উদ্দিন সেলিম
মাদক দ্রব্যের অভয়াশ্রম কোম্পানি গঞ্জ গাঁজা, ইয়াবা, চোলাই মদ ও ভারতীয় মদ ক্রয়-বিক্রয় আবারো ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে -মধ্যে ইয়াবা ও ভারতীয় মদ সহ মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হলেও গাঁজা ব্যবসায়ীরা ও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যারফলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল ও ২০২৩ সালের শুরুর দিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ও র্যাব এর বিভিন্ন বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে কোম্পানি গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পাশা-পাশি অনেকেই গাঁঢাকা দিলেও চলতি সনের গত মার্চ মাস থেকে অত্র উপজেলার বিভিন্ন হাট -বাজার ও গ্রাম এলাকায় আবারও মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ আগষ্ট রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানাযায়, কোম্পানি গঞ্জ উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকায় , অতি সুকৌশলে সুশীল সমাজ ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ফেরী করে গাঁজা, চোলাই মদ, ভারতীয় মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট নামক মদক দ্রব্য আবাদে বিক্রি করছে। অতি সহজে এই সকল মাদক দ্রব্য যুব সমাজ ও মধ্য বয়স্ক ব্যক্তিরা হাতের নাগালে পেয়ে সেবন এর ফলে মরণব্যাধি ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, স্মৃতি শক্তি হারানো সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি নেশার টাকা যোগানোর তাগিদে পরিবারের সাথে অসাধাচারন করার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই সহ নানাবিধ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৬০% যুব সমাজ কোনোনা কোনো ভাবে মাদকাসক্ত। এসকল মাদকদ্রব্য পাচারের নিরাপদ রোড হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময় এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে এই সকল মাদক দ্রব্য। মাঝে -মধ্যে চুনোপুঁটি মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার হলেও রাগব বোয়াল মাদক ব্যবসয়ারী থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সমাজকে সুন্দর ও পরিছন্ন রাখার লক্ষে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে রাগব বোয়াল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।