চলছে পবিত্র মাহে রমজান। ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গোপালগঞ্জের দর্জি পাড়ার কারিগররা। রোজার পূর্বে থেকেই অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। আরো কিছুদিন অর্ডার নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলার টেইলার্সগুলোর কর্ণধাররা।
ঈদকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখর গোপালগঞ্জ দর্জি পাড়া। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই।সদর উপজেলার দর্জি কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই এখন। অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রোজার আগে থেকেই।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় (২৯ মার্চ) সকাল থেকে গোপালগঞ্জ পৌর শহরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬টি অর্ডার করা পোশাক।
সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার এখনও চলছে বলে জানা গেছে। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন দর্জি পাড়ায়।
টেইলার্স মালিকরা বলছেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি পাড়ায়। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরাও। আবার কোনও কোনও টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমী কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
সরজমিনে গেলে দেখা গেছে, দর্জি পাড়া হিসেবে খ্যাত গোপালগঞ্জ বাজার, সহ বিভিন্ন টেইলার্সের কারিগরদের এক মুহূর্তের জন্য অবসর নেই। এছাড়া পাড়া-মহল্লার টেইলার্সও চলছে সমান তালে। দিনরাত নতুন নতুন পোশাক বানাচ্ছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার নবীনবাগের মিনা টেইলার্সের মালিক আবুল কালাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে তাদের ব্যস্ততা খুব বেড়েছে। শবে বরাতের পর থেকে ক্রেতারা ঈদের পোশাকের অর্ডার দিচ্ছেন। ২৫ রমজানের পর তাদের পক্ষে আর অর্ডার নেওয়া সম্ভব নয় হবে না। ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই টেইলার্স মালিকরা নতুন কারিগর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইতোমধ্যে অধিকাংশ টেইলার্সই নতুন কারিগর নিয়োগ দিয়েছেন। ছেলেদের প্যান্ট-শার্টের অর্ডার টেইলার্সগুলো এখনও নিচ্ছে। কাপড় অনুযায়ী জামা বানানোর মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সিল্ক জর্জেট, কাতান, লেলিন, বেনারসি কাপড়ের মজুরি কিছুটা বেশি। এক সেট থ্রি-পিস বানাতে মজুরি লাগছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। বিভিন্ন মার্কেট ও স্থান ভেদে এসব মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ঃ আনিচুর রহমান বলেন, পবিত্র ঈদের আগে ও পরে যাতে কোন প্রকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে পুলিশ সদস্যরা সর্বদাই সজাগ রয়েছেন।।