1. admin@dailyhumanrightsnews24.com : admin :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
লোহাগড়ায় গাঁজাসহ রাজিব ও জনি নামে ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। গোপালগঞ্জ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলে সহায়তা ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ ডিবি পুলিশের অভিযানে নেত্রকোনায় গাঁজাসহ ৩ মাদককারবারি আটক ইবিতে দেড়শো শিক্ষার্থীর মাঝে বই-বিহঙ্গের বই বিতরণ ধর্মপাশায় মাস্টারবাড়ী ট্রেনিং ইন্সটিটিউট জেলায় প্রথম স্থান অর্জন জগন্নাথপুরে “মন্তাজুর রহমান কল্যাণ ট্রাস্ট” কর্তৃক মেধাবৃত্তি বিতরণ শমশেরনগর হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিতে বিলেতের বৈঠকে কবি ও গবেষক সৈয়দ মাসুম এর লিখিত স্বাগত বক্তব্য ৩য় দিন সিলেটে জাতীয় পার্টির ছাতা, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ। রাজশাহীতে তীব্র খরায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে ডা. অর্ণা জামান হিন্দু ও মুসলিম সকলে আমরা ভাই, আসুন বর্জন করি সন্ত্রাসবাদ ও সমাজের অন্যায়

জগন্নাথপুরে মাছের আকাল, নদীর পানি তলানীতে

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ১৬৪ বার পঠিত

 

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরের নদ-নদীর পানি তলানীতে। আর বৃহৎ নলুয়ার হাওর সহ ছোট-বড় সবকটি হাওর খাল-বিল পানি শূন্য। যার ফলে সু-স্বাদু মাছের দেশ জগন্নাথপুরে মাছের আকাল চলছে। দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়াতো দুরে থাক ফিসারীর মাছ পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। যা পাওয়া যাচ্ছে তাও অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে।
ছয়ঋতুর দেশ, সবুজ শ্যামলের ছায়া ঘেরা বাংলাদেশের গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ সোনালী বৈশাখ মাস শেষ হয়ে জৈষ্ঠ্যমাস প্রায় শেষ পর্যায়ে বর্ষাকাল সমাগত। এই সময় টুকতে অন্যান্য বছরের ন্যায় বৃষ্টিপাত হয়নি । তাই ” মাছ,পাথর ও ধান, সুনামগঞ্জের প্রাণ ” প্রতিপাদ্যের হাওর কন্যা খ্যাত ও মাছের দেশ বলে সর্বত্র সমাদৃত সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাসী প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার হাট-বাজার ও নদ-নদী, হাওর ও খাল-বিল গুলোতে দেশী প্রজাতির সুস্বাদু মাছ অর্থাৎ কৈ, শিং, মাগুর, টেংরা, পুটি,লাটি, বাইম, গুতুম,পাবদা, শউল, গইন্যা, রউ, বাউশ ইত্যাদি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। হাট-বাজার গুলোতে যতসামান্য বিদেশি প্রজাতির পাংগাস,তেলাপিয়া, শিং ও কৈ, মাগুর অর্থাৎ ফিসারীর মাছ পাওয়া গেলেও অধিক মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এক কথায় মাছের দেশে মাছের আকাল চলছে। কেননা গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ বৈশাখ – জৈষ্ঠ্যমাসে হাওর, নদী আর খাল-বিলে মাছ ডিম দেয় বলেই দেশী প্রজাতির সুস্বাদু মাছের বংশ বিস্তার ঘটে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি তলানীতে রয়েছে। এবং উপজেলার সর্ববৃহত নলুয়ার হাওর সহ ছোট-বড় সবকটি হাওর-বাওর, খাল-বিল পানি শূন্য রয়েছে। যার ফলে মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।যদিও মাছের আকাল রোধে মা মাছ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে।

 

যদিও মাছের আকাল রোধে মা মাছ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। ৭ ই মে রোজ বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, উপজেলার হাওর -ঝাওর ও খাল-বিল পানি শূন্য। নদ-নদীর পানি তলানীতে। বাজার গুলোতে দেশী প্রজাতির মাছ নাই বললেই চলে। শতকরা ২/৩ জন ব্যবসায়ীর কাছে দেশী প্রজাতির মাছ থাকলে বাদবাকী ব্যবসায়ীদের কাছে তেলাপিয়া, পাংগাস ও জাটকা জাতীয় ফিসারীর মাছ রয়েছে। যা ক্রেতা সাধারনের চেয়ে মাছ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। তার উপর দাম হাঁকাচ্ছেন আকাশ ছোঁয়া।
এব্যাপারে মাছ ব্যবসায়ী শুভেশ দাশ, মলিন্ড দাস, আকমল, রাজন দাস, বিকাশ দাস সহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় না। পেলও দাম বেশী। আর ফিসারীর মাছ দাম মোটামুটি সহনশীল। খামারীরা বেশী মাছ বিক্রি করতে চায়না। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, পুকুরে প্রচুর মাছ আছে। কিন্তু ওরা মাছ কম করে বেশী দামে বিক্রি করে। বাধ্য হয়ে পুকুরের মালিকদের মর্জি মাফিক মাছ আনি।
এ ব্যাপারে মাছ ক্রেতা আবুল মিয়া,সুজন মিয়া ও রাসেল আহমদ সহ একাধিক ক্রেতা তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, অনেক দিন হয় দেশী মাছ খাইনী। প্রায় প্রতিদনই দেশী মাছ ক্রয় করতে এসে না পেয়ে ফিসারীর মাছ নিয়ে যাচ্ছি। তাও অধিক মূল্যে।
এবিষয়ে মৎস্যজীবি, সুজন দাস, আবনী দাস ও লালু বলেন, এবার এখনো পানি না আসায় হাওর -ঝাওর ও খালবিল কিংবা নদীতে মাছ ধরতে পারছিনা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। অন্য বছর চলতি সময় জাল দিয়ে মাছ ধরে ভালো ভাবেই সংসার চলতো। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। সরকারি ভাবে আমাদের সাহায্য করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-নজর কামনা করছি।
এবিষয়ে একান্ত আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, এখনো বর্ষার পানি না আসায় এবং হাওর পানি শূন্য থাকায় এ উপজেলায় মাছের আকাল পড়েছে। তবে এই আকাল বেশী দিন থাকবে না। কেননা হাওর ও খাল-বিলে পানি না থাকলেও নদীতে মোটামুটি পানি আছে। নদীতে থাকা ডিমওয়ালা মা মাছ রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে বর্ষার পানি আসলেই সর্বত্র মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করলে মাছের বংশ বিস্তার বৃদ্ধি হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পোনামাছ নিধনে ঝাপিয়ে পড়ে জেলেরা জানি। তবে এবার পোনামাছ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। যে কোনো মূল্যে পোনামাছ রক্ষা করতে হবে। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
Theme Customized By Shakil IT Park