মোঃ তুহিন শরীফ, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
গলাচিপায় স্কুলে যাওয়ার পথে শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল পৌনে ৯ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর ও পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের সংযোগ ব্রিজের উপর। এ ঘটনায় অপহৃত শিক্ষিকার বাবা গিয়াস উদ্দিন গলাচিপা থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ শোনিত কুমার গায়েণ।
সূত্র জানায়, গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইসরাত জাহান মৌসুমি। তিনি সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে জানুয়ারি মাসে ওই স্কুলে য্যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে পানট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহামুদ রাব্বি উত্যক্ত করে আসছিল। এতে ওই শিক্ষিকার সাড়া না পেয়ে রবিবার স্কুলে যাওয়ার পথে সংযোগ ব্রিজের উপর রাব্বির আরেক সহযোগী স্থানীয় মনির দফাদারের ছেলে শিমুল (মোটরসাইকেল ড্রাইভার) মিলে শিক্ষিকার পথ রোধ করে জোর পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় ওই শিক্ষিকা ডাক চিৎকার করলেও ঘটনা বুঝে উঠার আগেই রাব্বি শিক্ষিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই শিক্ষিকার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন সন্ধান পাইনি। তবে রাব্বির স্বজনরা মেয়ে আমার কাছে ফিরিয়ে দিবে দিবে বলে ঘুরাচ্ছে।
এ বিষয়ে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রুজবেল্ট মিয়া বলেন, রাব্বি আমার পরিচিত কিন্তু কাছের কেউ নয়। তবে একবার আমার সাথে ওই স্কুলে গিয়েছিল। এছাড়া আর কিছুই নয়। তবে আমিও শিক্ষিকাকে খুঁজছি।
এ ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি পিছনের গাড়িতে আসছিলাম। এসময় পথে আমাকে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা ঘটনাটি জানায়। পরে আমি জরুরি নম্বরে ৯৯৯ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের জানাই।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, আমার কাছে ওই শিক্ষিকার বাবা স্থানীয় রাব্বি ও শিমুলের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন থানার বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে