হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর এর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে পানি বৃদ্ধি স্থিতীশীল রয়েছে। তাই বন্যা আতংকে আতংকিত জগন্নাথপুরবাসীর মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক দিন থেকে অর্থাৎ ১৫ ই জুন থেকে টানা বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলজুর নদী, রত্না নদী, ডাউকা নদী ও কুশিয়ারা নদী সহ ছোট -বড় সবকটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওড়-বাওড় ও খাল-বিলে পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চলের বাড়ীর উঠান ছৌই ছৌই পানি হয়েছিল। তবে গত ২৩ শে জুন থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অত্রাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি না পেয়ে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে নলজুর নদীর পানি ০ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ৬ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২৪ শে জুন থেকে মোটামুটি সূর্যালোকের দেখা মিলায় জগন্নাথপুরবাসীর মাঝে বন্যা আতংক দুর হয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী শ্রীধরপাশা গ্রাম নিবাসী হাসিনুর, কান্দাগাঁও গ্রাম নিবাসী জয়নাল ও চিলাউড়া গ্রাম নিবাসী আমির উদ্দীন সহ একাধিক গ্রামের অনেকেই তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, যেভাবে বৃষ্টিপাতে আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদ-নদী আর হাওরের পানি বাড়ছিল তাতে মনে হচ্ছিল আমরা বিগত বছরের মতো বন্যার সম্মূখীন হতে চলেছি। আল্লাহ মেহেরবান গত দুই /তিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আর সূর্যের দেখা মিলায় পানি স্থিতিশীল রয়েছে। এমনকি উপর থেকে আসা পানি ভাটির দিকে চলে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে মোটামুটি স্বস্তি বোধ করছি।বাদ বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামসুদ্দোহা বলেন,গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে তেমন বৃষ্টি হয়নি।সব নদ-নদীর পানি কমছে। জেলায় বন্যার আশংকা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন,পাহাড়ী ঢল আর বৃষ্টিপাতের কারণে স্বল্প মেয়াদি বন্যার শঙ্কা ছিল। তবে আগামী দুদিন বৃষ্টি হবেনা। বৃষ্টি না হলে নদীর পানি কমবে।এতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হবেনা।