হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরে নৌ পথে মোবাইল হাসপাতাল এর মাধ্যমে তিনটি জায়গায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দৈনিক একশত পঞ্চাশ জন রোগীকে ফ্রীতে চেক-আপ সহ ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে। এই প্রাপ্তিতে জনসাধারণের মাঝে প্রশান্তি বিরাজ করছে।
সৌদি আরব সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে উপহারকৃত ও ফ্রেন্ডশিপ এনজিও পরিচালিত “কিং আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ মোবাইল হসপিটাল বাংলালাদেশ (KAAP-MHB)-২” নামক জাহাজ সদৃশ্য মোবাইল হাসপাতাল এর চিকিৎসকরা নদীপথে (এলাকায় জাহাজ হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) গতকাল ১০ ই অক্টোবর থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন এর বড়ফেচি বাজার সংলগ্ন নদীর কিনারে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীর চেক-আপ সহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ -পত্র অর্থাৎ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম প্রদান করছেন। এখানে আগত রোগীদেরকে ঔষধ সহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহ চক্ষু ও দাঁতের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও এক্সরে – রক্ত পরীক্ষা সহ ল্যাবরেটরি সার্ভিস চালু রয়েছে। উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও ও আশারকান্দী ইউনিয়ন এর তিনটি স্পটে দৈনিক ১ শত ৫০ জন রোগীকে প্রায় ছয় মাস চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এই প্রাপ্তিতে অত্র এলাকার জনসাধারণের মাঝে প্রশান্তি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে সেবাপ্রাপ্তি আম্বর আলী, সাজুল মিয়া, রাজীব, শেফালী বেগম, আলেয়া বেগম ও বিনয়া রানী সহ আরো অনেকে তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, অভাব অনটনের সংসারে ভাল ডাক্তার এর কাছে যেতে পারছিলাম না। এখন আমরা হাতের নাগালে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সৌদি বাদশা ও চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা তাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম দীলসাদ বলেন, সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে উপহারকৃত ও ফ্রেন্ডশিপ এনজিও পরিচালিত একটি মোবাইল হাসপাতালের মাধ্যমে নৌপথে উপজেলার আশারকান্দী, পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সেবা কার্যক্রম প্রদান করা হবে। গতকাল ১০ ই অক্টোবর উপজেলার আশারকান্দী ইউনিয়ন এর বড়ফেচি বাজার সংলগ্ন নদীর কিনারে এই কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেছেন জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর। এসময় উপস্হিত ছিলেন, ডাঃ শাহীনুর ইসলাম, আশার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ আয়ুব খান,বড়ফেচী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মুরাদ হোসেন,স্বাস্হ্য পরিদর্শক বিনয় চক্রবর্তী, সহঃস্বাস্হ্য পরিদর্শক,আমিরুল ইসলাম, স্বাস্হ্যসহকারী মিতালী দাস গুপ্তা, স্বাস্হ্য সহকারী আবদিন মিয়া,স্বাস্হ্যসহকারী আব্দুল মান্নান,সি ও এইচ,সি,পি, পপি তালুকদার সহ আর অনেকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দৈনিক একশত পঞ্চাশ জন রোগীকে ফ্রীতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত চলতে পারে কিংবা সময়সীমা ও এলাকা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এবিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর বলেন, একটি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এর জন্য এরূপ সেবা সত্যিকার অর্থে অনুপ্রেরণা মূলক ও প্রশংসার দাবিদার। এই মহৎ উদ্যোগ এবং জগন্নাথপুর উপজেলাকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়কে।বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি সুনামগঞ্জ জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসাইন স্যার এবং ফ্রেন্ডশিপ এনজিও কে।