রবি মিয়া ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডক্টরস আবাসিক ভবনের দরজার হাতল ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটেছে । এ নিয়ে ধর্মপাশা থানায় গতকাল সন্ধায়( ৮ ফেব্রুয়ারি) অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে । গত ০৫ ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত নাসরিন সাঈদ নয়ন নামের এক নারী চিকিৎসকের হাসপাতাল আবাসিক ভবন কক্ষের ২য় তলায় এ চুরির ঘটনা ঘটেছে ।
এ চিকিৎসক ২০২২ সালে ৪২ বিসিএস এর স্বাস্থ্য ক্যাডারে ধর্মপাশা উপজেলায় পদায়িত হন । তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা । বেড়ে উঠা ঢাকার বাসাবোতে । ফেব্রুয়ারি ৯-১১ তারিখ নয়নের বিভাগীয় পরীক্ষা থাকায় তিনি ৫-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন । তাঁর অনুপস্থিতিতে এ চুরির ঘটনা ঘটে । ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর দেড়টায় ডক্টর’স কোয়ার্টারের বসবাসরত তাঁরই সহকর্মী নাবিলা সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে লক্ষ্য করেন চিকিৎসক নয়নের রুমের দরজার তালা ভাঙ্গা । নাবিলা তাৎক্ষনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান । সাথে সাথে নয়নকেও ফোনে বিষয়টি জানান । চিকিৎসক নয়ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মোসতানশির বিল্লাহকে ঘটনাটি ফোনে জানিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে সহযোগিতা চান । যদিও তিনি সিসি ফুটেজ দিতে কালক্ষেপণ করেন । নয়ন ঘটনাটি ধর্মপাশা থানায় অবহিত করেন । থানা থেকে তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয় ।
গতকাল ৮ফেব্রুয়ারি চিকিৎসক নয়ন পরীক্ষা না দিয়েই হাসপাতালে ফিরে আসেন । ফিরে এসে তিনি দেখেন তাঁর ওয়ারড্রপ ভেঙ্গে একটি ল্যাপটপ, একটি আইপ্যাড , একটি হাতঘড়ি, ব্লুটুথ স্পিকার, ও নগদ ১৫শ টাকা চুরি হয়েছে । সবমিলিয়ে যার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ২লক্ষ টাকা ।
চিকিৎসক নাসরিন সাঈদ নয়ন জানান, আমি খুবই মর্মাহত । ঢাকা থেকে চাকুরির সুবাদে হা্ওরে চিকিৎসা দিতে পারায় নিজের গর্ববোধ হতো। চিকৎিসকরা যদি খোদ হাসপাতালের আবাসিক ভবনে অনিরাপদ থাকেন তাহলে চিকিৎসকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে । ”
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মোসতানশির বিল্লাহ বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথা জানান।
ধর্মপাশা হাসপাতালে চিকিৎসকদের আবাসিক ভবনে নেই কোনো সিসি ক্যামেরা । হাসপাতালের বর্হিবিভাগের সিসি ক্যামেরাও অচল। হাসপাতালের মূল ফটকে সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা যেন বাগান পাহারা দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না ।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দোহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ বিষয়ে মামলার তথ্য নিশ্চিত করে।