রবি মিয়া ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গতকাল বৃহস্পতিবার( ৭ মার্চ) বেলা দুইটার আগেই ছুটি দিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ওই চারটি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ধর্মপাশা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবু সাঈদ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজধরপুর, জানিয়ারচর, দেওলা ও নোয়াগাঁও এই চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে ওই কর্মকর্তা চলে আসার পর পরই এই চারটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই চারটি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন,সরকারি নিয়ম অনুয়ায়ী,ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার কথা।কিন্তু এই নিয়ম এখানে মানা হচ্ছে না। শিক্ষকেরা সকাল ১০টায় এসে বেলা দুইটার মধ্যেই ছুটি দিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। বৃহস্পতিবারও তাই ঘটেছে। এ সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সুলতান উদ্দিন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক ও জানিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.সাজ্জামালের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।তবে রাজধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারহানা শারমীন বলেন,আমাদের রাজধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ঐতিহাসিক ৭মার্চের কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। পরে শিক্ষার্থীরা ছুটির জন্য আবদার করায় বেলা আড়াইটার দিকে বিদ্যালয়টি ছুটি দিয়েছি। আমরা নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে আসি এবং নির্ধারিত সময়েই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। কেউ অভিযোগ করে থাকলে সেটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আবু সাঈদ বলেন, এই চারটি বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই চারটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে শোকজ করার জন্য সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো আবু সাঈদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।