হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাগলা কুকুর এর কামড়ে নতুন ৭ জন সহ সেপ্টেম্বর মাসে ৩১ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন জগন্নাথপুর এর সচেতন মহল।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, ২৯ শে সেপ্টেম্বর সকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের বাড়ী জগন্নাথপুর এলাকায় পাগলা কুকুর এর কামড়ে টেক্কা মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (২৮) এবং দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর গ্রাম নিবাসী তালেব আলীর স্ত্রী সাহিরা বেগম(৬৫), মনির মিয়ার স্ত্রী আরশি বেগম(৬৪), জাকির হোসেন এর ছেলে রেদোয়ান হোসেন(১৭),আবুল কালাম এর ছেলে সাইফুল মিয়া(২৪),হেকিম মিয়ার স্ত্রী ছায়া বেগম(৫০) ও নূর মিয়ার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৭০) আহত হয়েছেন। আহতরা জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইতিপূর্বে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৪ তারিখ এর মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ২৪ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে জগন্নাথপুর উপজেলায় সর্বমোট ৩১ জন আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা মাসুদ আহমদ, রাসেল, প্রনব ও জহিরুল ইসলাম সহ আরে অনেকে তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, উপজেলার সর্বত্র বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুর গুলো গ্রাঞ্চল সহ জনবহুল এলাকায় অবাধে চলাফেরা করছে। এবং জনসাধারণকে কামড়িয়ে অহরহ আহত করছে। আহত ব্যক্তিরা ব্যয়বহুল ভ্যাকসিন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বন্ধ্যে ও ভ্যাকসিন সমস্যা দূরীকরণ করতে সরকারের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ বিষের সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৩১ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সরকারি বরাদ্দ ভ্যাকসিন হাসপাতালে নেই। উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন অসচ্ছল রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।