হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জগন্নাথপুরবাসী কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনের চেয়ে রাতের বেলা ক্রেতা সাধারণ বিপণী বিতান ও মুদি দোকান গুলোতে ভীর করছেন। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক সক্রিয় রয়েছে।
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই মুসলিম উম্মাহ’র ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদকে সামনে রেখে চলতি রমজান এর প্রায় শেষ মুহূর্তে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার, কলকলিয়া বাজার ও মীরপুর বাজার সহ বিভিন্ন বড় বাজার গুলোতে অবস্থিত বিপনী বিতান ও মুদি দোকান গুলোতে ক্রয়-বিক্রয় জমে উঠেছে। দরদাম কষাকষি করে মালামাল ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। ৮ ই এপ্রিল রোজ সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ও জানাযায়, উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন বাজারের বিপনী বিতান ও মুদি দোকানে ক্রেতা সাধারণ এর উপচে পড়া ভীড়। দিনের বেলা লোকজন কম থাকলেও বিশেষ করে রাতের বেলা বিপনী বিতান গুলোতে নারী-পুরুষ ও শিশুরা পছন্দের পোশাকাদি ক্রয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবারের ঈদে দেশী-বিদেশী দুই ধরনের পোশাকের চাহিদা রয়েছে। এবং মুদি দোকান গুলো থেকে ঈদের সদাই করছেন জনসাধারণ।
বিপনী বিতানে আসা ক্রেতা সাদিয়া, আরিফা ও সালাম সহ একাধিক ক্রেতা তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, শিশুদের পাশাপাশি নিজের জন্য পোশাক কিনতে এসেছে। ঈদ উপলক্ষে দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের জামা কাপড় এর মূল্য হাকা হচ্ছে বেশী। পোশাক ক্রয় করতে এসে হিমশিম খাচ্ছি।
ঝলক ফ্যাশন এর মালিক শ্যামল গোপ একান্ত আলাপকালে বলেন, বেচা-বিক্রি ভালই হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেশী-বিদেশী দুই ধরনের পোশাকের চাহিদা রয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম একান্ত আলাপকালে গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা সদর সহ সারা উপজেলার হাটবাজার, মার্কেট ও বিএনপি বিতান গুলোতে ক্রেতা সাধারণ এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের পুলিশ বাহিনী দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। এবং শহরের সড়ক গুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।